বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, মহান স্বাধীনতার পর জাতি যখন চরম হতাশায় নিমজ্জিত, নেতৃত্ব যখন দিশাহীন-ঠিক সেই সময়েই আবির্ভাব ঘটে জিয়াউর রহমানের। তাঁর নেতৃত্বে এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে যায়। বাংলাদেশের জনগণ তখন নতুন করে নিজেদের আত্মপরিচয় খুঁজে পেতে শুরু করে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল শক্তিশালী, ভাবনায় ছিল স্বচ্ছতা আর চিন্তায় ছিল দেশপ্রেম। সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং ত্যাগের যে উদাহরণ তিনি রেখেছেন, তা আজও কোটি মানুষকে আলোড়িত করে। একজন সৈনিকের মতো দৃঢ়চেতা মন নিয়ে তিনি আত্মনিয়োগ করেন দেশ গঠনের কাজে।
শুক্রবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি ৫ (পাঁচ) দিনের কর্মসূচির তৃতীয়দিনে বিশেষ দোয়া পুর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে ইতিহাসের বাঁকবদলের সময় জিয়াউর রহমান কণ্ঠে তুলে নেন সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা, ‘উই রিভোল্ট। আই মেজর জিয়া, ডিক্লিয়ার দ্য ইন্ডিপেনডেন্স অব বাংলাদেশ‘ শুধু ঘোষণায় থেমে থাকেননি, সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে। স্বাধীনতার পর দেশের পুনর্গঠনে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। ক্ষমতা নয়, দেশের কল্যাণ ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার পর যখন জাতি দিশাহারা, ঠিক তখনই দৃঢ়তা নিয়ে আবির্ভূত হন জিয়াউর রহমান। উচ্চাভিলাষী সেনা অফিসার নন, বরং জাতির প্রয়োজন মেটাতে উদিত হয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন রাজনৈতিক মতকে একত্র করে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে তাঁর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা আজ ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, জাতীয়তাবাদ, উৎপাদনমুখী অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আত্মমর্যাদায় বলীয়ান একটি জাতি’ এই ছিল তাঁর স্বপ্ন। তিনি বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদী শক্তির চোখরাঙানির বাইরে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যান। তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে দেশকে বের করে এনে বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করেন।
আলোচনা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, এড. মোমরেজুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, কেএম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, এড. শেখ মোহাম্মাদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এএজে